নিয়ম আছে আবার ফাঁক গলে যাতায়াত ও আছে : কোভিডে সহাবস্থান

6th June 2021 11:56 am বর্ধমান
নিয়ম আছে আবার ফাঁক গলে যাতায়াত ও আছে : কোভিডে সহাবস্থান


মধুসূদন চন্দ্র ( বর্ধমান ) : 
                        COVID19 
                         দৃষ্টি আকর্ষনঃ-
১)মাননীয়া জেলা শাসক,পূর্ব বর্ধমান।
২)মাননীয় পুলিশ সুপার, পূর্ব বর্ধমান। 


করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের ছোবলে জর্জরিত জন জীবন।সরকারী নির্দেশ নামায় বলা হয়েছে মাস্ক পরা বাধ্যতা মূলক। যদি কেউ মাস্ক না পরে বা বিকৃত ভাবে মুখও নাক কে খুলে রেখে মাস্ক ব্যবহার করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।জরিমানা ও জেল দুটিই হতে পারে- এই প্রচার সরকারী ভাবে প্রশাসন থেকে,পৌরসভা থেকে,ব্লক অফিস, থানা, পঞ্চায়েত অফিস থেকে মাইকিং করে প্রচার করা হয়ে আসছে। স্বাস্থ্য কর্মী,অঙ্গন ওয়াড়ি কর্মী,আাশা কর্মীরা জীবনকে হাতে নিয়ে দুয়ারে  দুয়ারে ঘুরে ঘুরে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য প্রচার করে যাচ্ছে।দূরদর্শন কেন্দ্র গুলি প্রচারের সাথে সাথে করোনা থেকে বাঁচার জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনা চক্রের আয়োজন করছে।সংবাদপত্র পত্রিকা একটানা স্বাস্থ্য বিধি মানার জন্য লেখালেখি করে যাচ্ছে।একথায় সরকারী ও বেসরকারী ভাবে চেষ্টার কোন ত্রুটি নাই।কিন্তু ওই প্রচার সচেতনা আর সহানুভূতি।জোর হাতে অনুরোধ- মাস্ক পড়ুন- নিজেকে, নিজের পরিবারকে নিজের সমাজকে আবহেলা করে বিপদে ফেলবেন না।এক জোট হয়ে যুদ্ধ করে করোনা যুদ্ধে জিততে হবে আমাদের।করোনা অতিমহামারী একটি চরম বিপর্যয়। আর এটা বিপর্যয় মোকাবেলা অাইনের অন্তভূক্ত।কিন্তু আইন থাকে আইনের ঘরে। বাস্তব প্রয়োগ -সে তো কদাচ কেমন ঘটনা।তাই পাশাপাশি সহবস্থান বুড়ো আঙ্গুলের।বর্ধমান শহর ছাড়াও গ্রাম গঞ্জ সর্বত্র একটাই দৃশ্য।শিক্ষিত,অল্প শিক্ষিত,অশিক্ষিত সচেতন,অচেতন সকল মানুষ শুনে ও বুঝে মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্য বিধি মামলেও অতি সচেতন ও অতিপণ্ডিত গন মাস্ক ব্যবহার করছে না।বুক ফুলিয়ে জন অরণ্যে প্রশান্ত বদনে ঘুরে বেড়াছে।সমাজের এই নোংড়া কিট গুলোর জন্য আইন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই বুড়ো আঙ্গুলের বুক বেশ চওড়া হয়ে উঠেছে।সরকার লকডাউন-বাধা নিষেধ কত রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে- আর ওনারা আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে প্রকাশ্য বিচরন করছে- এটা যে শুধু আমদের চোখে পরছে আর প্রশাসনিক কর্তা ব্যাক্তি রা দেখতে পাচ্ছে না একথা নিশ্চয় বিশ্বাসের নয়।কাগজে কলমে নির্দেশিকা কে শিকেয় তুলে কি ডিজাস্টার আইনে এই অতি সচেতন,অতি চালাক সমাজের শত্রুগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না ? কানে পরিস্কার  ভেসে আসছে- আইন আইনই।মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বের হলে পুলিশ শাসন করেছে ঠিকই , তবে কত জনকে জরিমানা আর জেলের ঘানিতে যেতে হয়েছে একটু বলতে পারেন?

 

( লেখক পরিচিতি : সমাজকর্মী  )





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।